রাত বাড়লে পরে …

অলঙ্করণ: সায়ক প্রামাণিক রাত বাড়লে অনন্তশয্যা ছেড়ে উঠে আসো মায়াবিনী। পদ্মমধুর ঘ্রাণ লেগে থাকে চুলে। বহুযুগ ধরে আবছা খেয়ালে যে তোমাকে আমি চিনি, সবটুকু ভেসে গেল শুধু এক নিমেষের ভুলে? অথবা বলবে, বিষাক্ত আমি। তোমার তো দোষ নেই,বোঝো না সহজে। আলো চলে গেলে ছায়াও হারায় খেই!হয়তো কিছুই বলবে না। নীরবে হারিয়ে যাবে। সমুদ্র শুধু সৈকতে এসে … পড়তে থাকুন রাত বাড়লে পরে …

এক দিন কা সুলতান

দিনটার একটা রোদ ঝলমলে সকাল ছিল। ঘুম থেকে উঠে জানলা খুললে মেরুন গ্রীলের ফাঁক দিয়ে বিছানার ওপর ঘুমের রেশ লাগা মুখ-চোখে পড়া আকাশের ময়ূরকণ্ঠী নীলের ছায়া ছিল। বাইরে শিরীষ গাছটার তলা হলুদ হয়ে আছে। কয়েকটার দলাপাকানো, পদক্লিষ্ট অবস্থা। দুটো ছেলে এসে গাছটার থেকে গুলতি মেরে কে জানে কী পেড়ে নিয়ে গেল। কাগজের লেজটুকু দেখতে পেলুম। … পড়তে থাকুন এক দিন কা সুলতান

ফড়িং

“কখনও ফড়িং ভূতের নাম শুনেছিস?” জিজ্ঞেস করেন ছোটকাকু, আলো আঁধারিতে মুখটুকু স্পষ্ট করে দেখা যায় না। দরমার বেড়া দিয়ে পাঁচিল করা হয়েছে, কোণের দিকে ড্রাম আর ইঁটের টুকরো দিয়ে ফাঁকটুুকু ঢাকা। মোমবাতিটা জ্বলেছে অনেকক্ষণ ধরে, গলে যাওয়া লাল মোম ঠাণ্ডা দাওয়ার ওপর পড়ে জমাট বেঁধে যাচ্চে খালি খালি। শিরশিরে একটা অনুভূতি বাতাসে, এমন জমাটি আবহাওয়ায় … পড়তে থাকুন ফড়িং

দীপ জ্বেলে যাই

কালীপুজোয় কোনদিন বোম ফাটাইনি। লক্ষ্মীপুজোর চার-পাঁচদিন পরে বাবা ঢুকত ঘরে হাতে প্লাস্টিকের প্যাকেট নিয়ে। তিন-চার প্যাকেট তারাবাতি থাকত, কদাচিৎ তুবড়ি বা রংমশাল। ঐ দুটো, বলে দিয়েছিলাম, নিজে বাছাই করে কিনব। আরও ছোটবেলায়, মায়ের মুখে গল্প শোনার পর আবছা আবছা মনে পড়ে..মামার বাড়ি বেড়াতে যেতাম আমি আর দাদা। চিন্তাশীল মুখে অগ্রজ আমায় হুকুম করত, আর আমি … পড়তে থাকুন দীপ জ্বেলে যাই

অরণ্য আখ্যান : পর্ব ৩

...এ মহানগর ঘুমায় না। হলদে হ্যালোজেন সহস্রচক্ষু মেলে পাহারা দেয় এখানে। মফস্বলের অন্ধকার গলির রাতচৌকির বাঁশি এখানে গুমরে গুমরে ঘোরে কোনো কানাগলির ভেতরে। রাত বাড়লে শহরের ভেতর জেগে ওঠে আরও একটা শহর। তার গায়ে লেগে থাকে আলকোহলের ঝাঁঝালো গন্ধ। তার মধ্যে তখন পর পর নিভে যাওয়া ফ্ল্যাটবাড়ির আলোর ঝলসানি। তখন তার ফুটপাথে চাদর বিছিয়ে শুয়ে … পড়তে থাকুন অরণ্য আখ্যান : পর্ব ৩

অরণ্য আখ্যান : পর্ব ২

বিকেলেও মাঝে মাঝে ভোর নামে। শালপাতা দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে গড়িয়ে পড়ে আলোটা। ভিজে গেছে যেন। অথচ, তাতে হলুদ-লালের রেশমাত্র নেই। শুধু নীল। গাঢ় ময়ূরকণ্ঠী নীল রঙা আলো। ঝিরিঝিরি হাওয়ার সাথে খসে খসে পড়তে থাকে পাতাগুলো। ইতিউতি টুপটাপ শালফুল নেমে এসে সঙ্গ দেয়। এক একটা পাতার খসে যাওয়ার সাথে সাথে একটা একটা করে নতুন আলো জন্ম … পড়তে থাকুন অরণ্য আখ্যান : পর্ব ২

অরণ্য আখ্যান : পর্ব ১

মেঘটার দিকে অনেকক্ষণ ধরে চেয়েছিল অরণ্য। শ্যাঁওলা রঙের মেঘটা। ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছে একফালি আকাশটায়।  জানলার গ্রিলগুলোয় বৃষ্টির দু-চারটে ফোঁটা আটকে আছে। একটা বেশ বড় হয়ে উঠেছে, যে কোন সময় ঝরে পড়বে। নীচের জানলাটা বন্ধ। আধো-অন্ধকার হয়ে আছে ঘরটা। একটু আগে মোবাইলে দেখেছে, আটটা বেজে গেছে। তাও বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছে না। খাটটা ছোট হয় … পড়তে থাকুন অরণ্য আখ্যান : পর্ব ১

মাশুল

মেঠো রাস্তার পাশের কদমগাছটা থেকে মৌটুসী পাখিটা ডেকে উঠতে জোরে পা চালাতে শুরু করলো হারু। হারু, অর্থাৎ হারাধন সাঁপুই। বাপ – মায়ের একমাত্র ছেলে। শীতের দিন, ভোরবেলায় কুয়াশা একটু বেশিই। দুহাত দুরের জিনিস দেখা যাচ্ছে না ভালো করে। হারু টর্চ নিয়ে বেরিয়েছে একটা। রাস্তাঘাটে উল্টোদিক থেকে আসা গাড়িঘোড়া যেন টের পায় তার অস্তিত্ব, তাই এই … পড়তে থাকুন মাশুল

তোমার পথের থেকে …

 কাল মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের শুরু। ট্রেনটা যখন ঢুকলো প্ল্যাটফর্মে, তখনও আমার মনে পুজো পুজো ভাবটা আসেনি। আসলে শরতে অন্যরা কাশফুলের আন্দোলন, শিউলির সুঘ্রাণ ইত্যাদি নিয়ে ন্যাকা ন্যাকা স্টেটাস দিয়ে “শরত তো এসে গেছে” টাইপ আদেখলামো করতে পারলেও আমি সেটা পারি না। ফুলে আমার বরাব্বরের আল্যার্জি, কারণটা বোধহয় তাই। আমার শরত অন্যভাবে আসে। আগে বরং … পড়তে থাকুন তোমার পথের থেকে …

স্টেটাস

বিকেলের দিকে একপশলা বৃষ্টি হওয়ার পরে যে নরম আলোটা থাকে সেটা ভারী ভালো লাগে আমার। কেমন একটা মনখারাপ করা আবেশ মিশে থাকে তাতে। এই যেমন এখন। সকাল থেকে চরাচর ভাসিয়ে দিল বৃষ্টিতে, অথচ বিকেল পড়তেই কেমন মোলায়েম আলোয় মেখে গেল আকাশটা। মনখারাপ এর অনেকের অনেক রকম কারণ থাকতে পারে। তবে আমার কারণটা একটু অন্যরকম। আমার … পড়তে থাকুন স্টেটাস